Academy

দৃশ্যপট-১: 'ক' অঞ্চলের রাজা অল্পবয়সী ও কম অভিজ্ঞ হওয়ায় তিনি সকলকেই বিশ্বাস করতেন। তার সরলতার সুযোগে নিকট আত্মীয়, দেশীয় ও ভিনদেশি লোক ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করে। কিন্তু পরিণামে দেশীয়রা ভিনদেশিদের অধীনস্থ হয়। তারা নিজ স্বার্থে শাসন ব্যবস্থা চালু করে।

দৃশ্যপট-২: বিদেশি শক্তি 'খ' অঞ্চলকে একটি মাত্র কেন্দ্র হতে শাসন করা কঠিন মনে করে। ওই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন অঞ্চলটিকে শাসন করার উদ্দেশ্যে দুটি ভাগে বিভক্ত করে।

"দৃশ্যকল্প-২-এ উল্লিখিত ঘটনাটির অনুরূপ ঘটনার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে" মতামত দাও। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

উদ্দীপকে দৃশ্যকল্প-২-এ উল্লিখিত ঘটনার অনুরূপ ঘটনা হলো বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা।

বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে। ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী বৃহত্তর বাংলাকে ভাগ করতে পরিকল্পনা করল। তাদের যুক্তি ছিল যে, বাংলার সীমানা অনেক বড়। পূর্ব বাংলা, পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে ছিল বৃহত্তর বাংলা। তাই কলকাতা থেকে শাসনকার্য পরিচালনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে পূর্ব বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তাই লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাকে দুভাগে ভাগ করেন। ঢাকাকে রাজধানী করে নতুন প্রদেশ করা হয়। এই প্রদেশের নাম হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ। বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধে আন্দোলন শুরু হয়। কলকাতাকেন্দ্রিক শিক্ষিত বাঙালিদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরির পরিকল্পনা বলে মনে করেন। কারণ পূর্ব বাংলার বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। তাই মুসলমান নেতারা মনে করলেন নতুন প্রদেশ হলে পূর্ব বাংলার উন্নতি হবে। ফলে বাঙালি হিন্দু নেতারা একের পর এক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করেন। এগুলো হচ্ছে স্বদেশি আন্দোলন, বয়কট আন্দোলন, স্বরাজ এবং সশস্ত্র আন্দোলন। পূর্ব বাংলার মুসলিমদের মধ্যে নতুন ভাবনা সৃষ্টি হলে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংরেজদের অভিসন্ধি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করলেও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ব্রিটিশদের শাসন থেকে মুক্তির আন্দোলনে পরিণত হয়।তাই বলা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত বীজ রোপিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনায়।

2 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...